পানি ঢালার পরিমাণ, তাপমাত্রা ইত্যাদি পছন্দ না হলে শিশু গোসলের সময় কাঁদতে পারে।
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করতে শিশুকে নিয়মিত গোসল করানো জরুরি। শিশুকে গোসল করাতে গিয়ে বিভিন্ন বিড়ম্বনার সম্মুখীন হতে হয়। কিছু শিশু জল পছন্দ করে, কিছু শিশু জলে যেতে চায় না।
শিশুদের নিয়ে একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে গোসলের সময় শিশুদের কান্নার কারণ ও সমাধান জানানো হয়েছে।
জলের তাপমাত্রা: শিশুরা গরম এবং ঠান্ডা উভয় অবস্থাতেই সংবেদনশীল। তাই খেয়াল রাখতে হবে পানি যেন খুব ঠান্ডা বা বেশি গরম না হয়।
হালকা গরম হলুদ পানিতে গোসল করা শিশুর জন্য সবচেয়ে উপকারী। এটি শিশুদের স্নানের সময়ও স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে।
পানির গতিঃ ছানার গায়ে পানি ঢাললে ধীরে ধীরে ঢালুন। একটি ‘বাথটাব’ বা ঝরনার জন্য একটি বড় পাত্র নিন। আর এতে ছানা রেখে ধীরে ধীরে পানি ঢালুন। শিশুর মাথায় পানি ঢালার সময় খেয়াল রাখুন যেন বেগ কম হয়।
ফুসকুড়ি, পোড়া বা ঘা: শিশুর শরীরে কাটা, ফুসকুড়ি বা ঘা দেখা দেয়, যা সাবান পানির সংস্পর্শে পোড়ার কারণ হয়। এ ধরনের সমস্যা দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শে প্রয়োজনীয় ‘মলম’ ব্যবহার করুন এবং আক্রান্ত স্থানে সাবান ব্যবহার এড়িয়ে চলুন।
ক্ষুধা: গোসলের আগে শিশুর খুব বেশি ক্ষুধার্ত বা ক্লান্ত না হয় তা নিশ্চিত করুন। শিশুরা ক্লান্ত বা ক্ষুধার্ত হলে অস্বস্তি বোধ করে। খাওয়ানোর অন্তত ৩০ থেকে ৪৫ মিনিট পর শিশুকে গোসল করান।
নিয়ম মেনে চলা: শিশুর গোসলের সময় ঠিক রাখা জরুরি। এতে, শিশু এবং তার শরীরের ঘড়ি একটি ম্যাট্রিক্সে আবদ্ধ। শিশুর ঘুমের সময় জানা থাকলে তাকে ঘুমানো সহজ হয়, একইভাবে গোসলের সময় জানা থাকলে তাকে সহজেই গোসল করানো যায়।
Leave Your Comment