মধু কেবল একটি উপকারী খাবার নয়, পণ্য এবং ওষুধও বটে। জন্মের পরে, এমন লোকদের খুঁজে পাওয়া কঠিন যারা বাচ্চাদের মধু দেয় না। মানুষ প্রাচীন কাল থেকে মধু প্রাকৃতিক খাদ্য হিসাবে, মিষ্টি হিসাবে এবং একটি ওষুধও হিসাবে এটি ব্যবহার করে আসছে।
আমাদের দেহের সুস্বাস্থ্যের জন্য মধুর সুবিধাগুলি অতুলনীয়। এবার আসুন জেনে নাওয়া যাক মধু কি? মধু হল একটি তরল মিষ্টি -জাতীয় আঠালো পদার্থ, যা সাধারণত মৌমাছি ফুল তেকে পুষ্পরস হিসাবে সংগ্রহ করে এবং তাদের মৌচাকে জমা করে। পরে, মৌমাছি এইগুলোকে বিশেষ প্রক্রিয়া মাধ্যমে মধুতে রূপান্তরিত করে।
বিস্তারিতভাবে, এটি ব্যাখ্যা করতে হবে যে ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (ডাব্লুএইচও) এবং খাদ্য ও কৃষি সংস্থার তথ্য অনুসারে, মধু একটি সূক্ষ্ম মিষ্টি পদার্থ যা সাধারণত ফুল বা জীবন্ত উদ্ভিদ থেকে সংগ্রহ করা হয় এবং মধুতে রূপান্তরিত করা হয়। এটাই মধু।
খাদ্য হিসাবে মধু:
মধু প্রাচীন কাল থেকেই ওষুধ এবং খাবার হিসাবে ব্যবহৃত হয়। বিশেষত চীনারা প্রতিদিন সকালে তারা দুধ ও মধু মিশ্রিত করে এবং এটি রুটি দিয়ে খায়। নিয়মিত মধু খাওয়া চীনাদের অভ্যাসে পরিণত হয়েছিল। শুধু চাইনিজ না, আমার দেশে কেউ কেউ গরম পানিতে বা চা দিয়ে মধু খায়।
পরিসংখ্যানের দিকে তাকালে দেখা যাবে যে, বিশ্বের বেশিরভাগ দেশে, বিশেষত এশিয়ান দেশে মধু খুব বেশি খায়। আপনি যদি সকালে এক চা চামচ মধু খান তবে দিনটিকে মধুর মতো মিষ্টি করে তুলতে পারবেন। শুধু তাই নয়, মধুর অনেক স্বাস্থ্য সুবিধা রয়েছে।
যদিও এটি খুব আশ্চর্যজনক যে, মধুতে প্রায় 45 টি খাদ্য উপাদান রয়েছে। সাধারণত পুষ্টি হিসাবে, ফুলের পরাগের মধুতে 25 থেকে 37 শতাংশ গ্লুকোজ, 34 থেকে 43 শতাংশ ফ্রুক্টোজ, ৫-১২ শতাংশ মন্টোজ, ০.৫ থেকে ৩.০ শতাংশ সুক্রোজ থাক।
সুধু তাই নয় আরো থাকে ২৮ শতাংশ খনিজ লবণ, ২২ শতাংশ অ্যামাইনো এ’সিড এবং ১১ ভাগ এনকাইম। এতে সাধারণত কোন চর্বি ও প্রোটিন নেই। প্রতি ১০০ গ্রাম মধুতে থাকে ২৮৮ গ্রাম ক্যালরি।
খাঁটি মধুর কয়েকটি বৈশিষ্ট্য:
মধুর অনেকগুলি বৈশিষ্ট্য রয়েছে। তবে খাঁটি মধুর কয়েকটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হল:
- খাঁটি মধুর কখনই কোনও তিক্ত গন্ধ থাকে না।
- সব থেকে মজার কথা হল মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষ’তিকারক কোনো বি’ষাক্ত উপাদান প্রাকৃতিক গাছে থাকলেও তার কোন প্রভাব মধুতে থাকে না।
- মধু সংরক্ষণের জন্য কোনও অপচনশীল কোন রসায়নিক ব্যবহার করা হয় না। কারণ মধু নিজেই অপচনশীল রসায়নিক সহ পুষ্টি সমৃদ্ধ একটি খাদ্য।
- খাঁটি মধুর উৎপাদন, নিষ্কাশন, সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং বোতলজাতকরণের সময় অন্য কোনও পদার্থের সংমিশ্রণের প্রয়োজন হয় না।
- আপনি যদি খাঁটি মধু পরীক্ষা করতে চান তবে আপনি একটি জিনিস করতে পারেন। আপনি খাটি মধু পানির গ্লাসে ফুটা আকারে ছেড়ে দিন, খাঁটি মধু ফুটা অবস্থায়ই গ্লাসের নিচে চলে যাবে।
Leave Your Comment